শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেডে আহত অন্তত ১১০
তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয়। এতে শিক্ষক, পুলিশ ও রিকশাচালকসহ অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শাহবাগ থেকে শতাধিক আহত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি...
তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয়। এতে শিক্ষক, পুলিশ ও রিকশাচালকসহ অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শাহবাগ থেকে শতাধিক আহত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে আহত শিক্ষকরা ঢাকা মেডিকেলে আসতে শুরু করেন।'
আহত শিক্ষকদের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম (৪০), সাদিক (৪০), তৌফিক (৩০), হামিদুর (৩২), মজিবুর রহমান (৩২), শহিদুল ইসলাম (৪৮), শফিকুল ইসলাম (৪৯), মোশারফ হোসেন (৫০), খায়রুন নাহার (৩৫), তামান্না আক্তারের (৩৫) নাম জানা গেছে।
আহতরা জানান, তারা সকাল থেকে তাদের দাবি নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় ছিলেন। বিকেলে শাহবাগ এলাকায় গেলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক ডেইলি স্টারকে জানান, আহতরা বিকেল থেকে হাসপাতালে আসতে শুরু করে। তাদের মধ্যে শিক্ষক, পুলিশ ও রিকশাচালক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আহতদের অধিকাংশই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'গুরুতর আহত কাউকে পাইনি। তাদের বেশিরভাগের হাঁটুর নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং কেউ কেউ সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।'
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর ডেইলি স্টারকে জানান, এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ডিএমপি জানিয়েছে, শাহবাগ মোড়ের কাছে বিক্ষোভকারীদের একটি দল পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে এগোতে থাকে। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করলে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভরতদের ছত্রভঙ্গ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং জলকামান ব্যবহার করে।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন।
'প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ'-এর ব্যানারে চারটি সংগঠন এ আন্দোলন পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। সংগঠনগুলো হলো—বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) এবং সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।