অভিন্ন পাঁচ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা আট দল আগামী মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে যৌথ সমাবেশ করবে। 

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'গত ২৫ অক্টোবর আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার ধারাবাহিকতায় গত ৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমাদের দাবি ও এর তার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি।' 

আরও বলা হয়, 'আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম আমাদের দাবির গুরুত্ব অনুধাবণ করে প্রধান উপদেষ্টা কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু আমাদের হতাশ হতে হয়েছে। তাই আমাদের পুর্বঘোষিত কর্মসূচি মাঠেই প্রতিফলিত হবে ইনশাআল্লাহ।'

গত ৬ নভেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের সমাবেশে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবারের এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। 

সেদিন সরকারকে হুঁশিয়ার করে তাহের বলেছিলেন, 'সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করবো।' প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও দাবি আদায় না হলে ১১ নভেম্বর ঢাকা 'জনতার নগরী' হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

মঙ্গলবারের সমাবেশে সমমনা আট দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। দল আটটি হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।

যুগপৎ আন্দোলনের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো— জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে/উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা, 'ফ্যাসিস্ট' সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং 'স্বৈরাচারের দোসর' জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।