মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলিতে নিহত ১
মুন্সীগঞ্জের ডুমুরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন।এ ঘটনায় নিহত হন আরিফ মীর (৩৫)। আহত ব্যক্তি তার চাচাত ভাই ইমরান।আজ সোমবার ভোর ৬টার দিকে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ওসি জানান, সোমবার সকালে আরিফ ও ইমরান বাড়ির সামনে এলে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা করে ও গুলি ছোড়ে। এতে দুজনই গুলিবিদ্ধ হন। স্থানী...
মুন্সীগঞ্জের ডুমুরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন।
এ ঘটনায় নিহত হন আরিফ মীর (৩৫)। আহত ব্যক্তি তার চাচাত ভাই ইমরান।
আজ সোমবার ভোর ৬টার দিকে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, সোমবার সকালে আরিফ ও ইমরান বাড়ির সামনে এলে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা করে ও গুলি ছোড়ে। এতে দুজনই গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুতর আহত ইমরানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন জানান, দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে আরিফ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ওসি সাইফুল আলম আরও জানান, এর পর চরডুমুরিয়া ও আশেপাশের এলাকায় থেমে থেমে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশকিছু ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদিন ধরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫-৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরাও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখেছি। কিন্তু অভিযানে এখনও কোনো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।'
সংঘর্ষের আগে ও পরের কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ দ্য ডেইলি স্টারের কাছে এসেছে। তাতে দেখা যায় একই রঙের পোশাক পরে ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে গুলি ছুড়তেও দেখা যায়।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক ও বংশগত আধিপত্য বিস্তারের জন্য সংঘাত চলমান। এখানে রাজনৈতিক বিষয়টি মূখ্য নয়। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিবাদ মেটানোর জন্য একাধিকবার সালিশ করা হয়েছে।'
নিহত আরিফ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সেটি আমার জানা নেই।'