সারা দেশে অধস্তন আদালতের তিন শতাধিক বিচারককে জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে ফুলকোর্ট সভায় মোট এক হাজার বিচারককে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে তিন শতাধিক বিচারককে জেলা জজ পদে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মোছা. কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা পুনর্বহালের প্রস্তাবও নাকচ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে শাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর সেই মামলার রায়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর তৎকালীন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার অভিযুক্ত পাঁচজনকেই খালাস দিয়েছিলেন।

রায় ঘোষণার পর আদালতকক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর মামলা না নেওয়ার বিষয়ে বিচারক সুপারিশ করবেন বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়।

ওই ঘটনার পর তার বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়।

বৈঠকে উপস্থিত সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, বিচারক কামরুন্নাহারকে পুনরায় বিচারকের পদে বহালের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয় থেকে সভায় পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি বর্তমানে আপিল বিভাগে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকায় ফুলকোর্ট আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি বিবেচনা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

সূত্র জানিয়েছে, যুগ্ম জেলা জজদের অতিরিক্ত জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ এবং সহকারী জজদের সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের মামলাগুলো পরিচালনার জন্য গতকাল ৪১ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ৬৭ জন অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিয়েছে সরকার।