দেশের বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করলেও জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আসিফ বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের পর ৩টা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে, সংস্কার-বিচার-গণতান্ত্রিক রূপান্তর। বিচারের বিষয়ে যতটুকু জানি অগ্রগতি হচ্ছে, ১৩ নভেম্বর রায়ও হওয়ার কথা।'

'অন্যদিকে সংস্কারের বিষয়ে যারা বেশি বলত, ৫ আগস্টের পরে তারা কেন জানি সংস্কারবিরোধী রাজনীতিতে ঢুকে গেছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা ঘুরেফিরে একই জায়গায় চলে যাই কিনা...'

আসিফ মাহমুদ বলেন, 'সংসদে ৩০০ জন যাবেন, এখানে কয়জনের ২০ কোটি টাকা আছে, ২০ কোটি টাকা না থাকলে তো কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।'

'বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় অন্তত ১০-২০ কোটি টাকা না হলে, কেউ নির্বাচন করতে পারবে হয়ত, কিন্তু জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এই বাস্তবতায় যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ আছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার,' যোগ করেন তিনি।

এই উপদেষ্টা বলেন, 'আপনি আবার কারও থেকে টাকা নিয়ে যদি নির্বাচন করেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেজন্য আমাদের বারবার চিন্তা করতে হয় যে, ইলেকশন করব কিনা। করলে কীভাবে করব...মানুষ কি টাকা ছাড়া ভোট দেবে?'

'পজিশনের কারণে আমার যদিও রাজনীতির কথা বলা একটু মুশকিল। তারপরও আমার মনে হয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কিছু প্রশ্ন থাকা উচিত। যেমন ৫ আগস্টের পরে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ সংস্কারবিরোধী রাজনীতি করল, এটার আউটকাম কী? কেউ রিঅ্যাকশনারি পলিটিকসে ঢুকে গেল এবং এর মাধ্যমে মুজিববাদী রাজনীতিকে আবার প্রাসঙ্গিক করে তুলল,' বলেন তিনি।

আসিফ বলেন, 'দুঃখজনকভাবে আমরা এখনো জানি না যে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তটা কী। কিছু পপুলিস্ট কার্যক্রম করলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হয়ে যায় না। আমি আমার এই ক্যাপাসিটি থেকে বের হলে রাজনীতি করব। তখন আমার খুঁজতে হবে যে আসলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জিনিসটা কী।'