কারওয়ান বাজার, উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসা ও এনসিপি কার্যালয়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ
ঢাকার সেন্ট্রাল রোডে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার কাছে দুটি এবং বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।আজ রোববার রাত ৯টার দিকে সেন্ট্রাল রোডে আইডিয়াল কলেজ ও উপদেষ্টার বাসার মাঝামাঝি সড়কে দুর্বৃত্তরা ককটেল ছোড়ে বলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।তিনি বলেন, 'ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ককটেলগুলো আইডিয়াল কলেজের কাছের সড়কেই বিস্ফোরিত হয়। উপদেষ্টার বাসা পাশের গলিতে।'তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।রাত সাড়ে ৯টার দি...
ঢাকার সেন্ট্রাল রোডে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার কাছে দুটি এবং বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।
আজ রোববার রাত ৯টার দিকে সেন্ট্রাল রোডে আইডিয়াল কলেজ ও উপদেষ্টার বাসার মাঝামাঝি সড়কে দুর্বৃত্তরা ককটেল ছোড়ে বলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।
তিনি বলেন, 'ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ককটেলগুলো আইডিয়াল কলেজের কাছের সড়কেই বিস্ফোরিত হয়। উপদেষ্টার বাসা পাশের গলিতে।'
তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলামোটর মোড়ে এনসিপি কার্যালয়ের কাছে আরেকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে বলে জানান ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মাজহারুল ইসলাম।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীনও ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে কারওয়ান বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায় এড়িয়ে পরস্পরের ওপর দোষ দিচ্ছে দুই থানা।
তেজগাঁও ও কলাবাগান থানা ঘটনা নিশ্চিত করলেও এলাকাটি নিজেদের নয় দাবি করছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে কারওয়ান বাজার মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
উভয় থানার কর্মকর্তারা জানান, ব্যস্ত এই মোড়ে দুর্বৃত্তরা ককটেল নিক্ষেপ করে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
তেজগাঁও থানা দাবি করছে, ঘটনাস্থল কলাবাগান থানার আওতাধীন। আর কলাবাগান থানা বলছে এটি তেজগাঁও থানা এলাকা।
যোগাযোগ করা হলে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কারওয়ান বাজার মোড়ে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। তবে সেটি কলাবাগানের এলাকা। বিস্তারিত জানতে তাদের সঙ্গে কথা বলুন।'
অন্যদিকে, কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, 'এলাকাটি তেজগাঁও থানার আওতায় পড়ে। তেজগাঁও কেন অস্বীকার করছে, তা জানি না। বিস্ফোরণ তো ঘটেছে—অস্বীকার করার কী আছে? তারা যদি এলাকার দায়িত্ব নিতে না চায়, তা বলুক—আমরাই নেব।'