৩৬ সার্জারি, ২২ দিন আইসিইউতে, অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মাইলস্টোন শিক্ষার্থী নাভিদ
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুস্থ হয়ে ৯৭ দিন পর বাড়ি ফিরেছে।এর মধ্যে তার ৩৬টি অস্ত্রোপচার হয় এবং ২২ দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকতে হয়।আজ সোমবার নাভিদকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ডা. মারুফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, 'গত ২১ জুলাই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নাভিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সিএমএইচ থেকে পরদিন...
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুস্থ হয়ে ৯৭ দিন পর বাড়ি ফিরেছে।
এর মধ্যে তার ৩৬টি অস্ত্রোপচার হয় এবং ২২ দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকতে হয়।
আজ সোমবার নাভিদকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক ডা. মারুফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'গত ২১ জুলাই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নাভিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। সিএমএইচ থেকে পরদিন তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরপর দুইবার তার পরিবারকে দুঃসংবাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল।'
'চিকিৎসকরা নাভিদের চিকিৎসায় হাল ছাড়েনি' মন্তব্য করে এই চিকিৎসক জানান, ছেলেটি মোট ২২ দিন আইসিইউতে ছিল, এর মধ্যে ১০ দিন ছিল লাইফ সাপোর্টে।
৩৫ দিন তাকে হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়। এরপর ৪০ দিন কেবিনে থাকার পর আজ তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, 'নাভিদের মোট ৩৬ বার ছোট-বড় অপারেশন হয়েছে। শরীরের ক্ষতস্থানে চামড়া প্রতিস্থাপন হয়েছে ৮ বার। এই ঘটনার অন্য কোনো দগ্ধ রোগীর এত সার্জারি লাগেনি।'
বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, 'দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়ার পর নাভিদের ফুসফুসে পানি জমেছিল। এজন্য লাইফ সাপোর্টেও উপুর করে শুইয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল।'
ওই ঘটনায় দগ্ধ আরও ৫ শিক্ষার্থী এখনো বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে।
গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা ভবনে আছড়ে পড়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। ওই বিমান দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হন এবং ১৫০ জন আহত হন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।