নিজের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেন তিনি। 

বিজ্ঞপ্তিতে শওকত আলী বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম আমার নাম জড়িয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য-উপাত্তসহ খবর প্রকাশ করছে, যা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। এ ধরনের ভিত্তিহীন খবরে দাবি করা হচ্ছে, আমি ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান পদে থেকে আট হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছি। আমি এসব ভিত্তিহীন খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, আমি আশির দশক থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা করছি। এ দেশের একজন দায়িত্বপূর্ণ নাগরিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদান রাখছি বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। দেশের ব্যাংকিং, বীমা, শিপ রিসাইক্লিং, চা, সিরামিক্স, আবাসন, লজিস্টিক্স ইত্যাদি ব্যবসায়ে আমার বিনিয়োগ রয়েছে। আমার ৪০ বছরের বেশি ব্যবসায়িক জীবনে আমার বিরুদ্ধে একটি টাকাও আত্মসাৎ করা তো দূরের কথা, কোনো ব্যাংকে কোনো ঋণ এক দিনের জন্যও ওভারভিউ হয়নি এবং কোনো সময়ে পুনঃতফসিলিকরণও চাইনি। এমনকি কখনো কোনো ব্যাংকের কাছে সুদ মওকুফের আবেদনও করিনি। 

ইবিএলের চেয়ারম্যান বলেন, আমি সব সময় প্রতিটি ব্যাংকের ঋণ ফেরতের নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিশোধ করেছি। আমার যদি কোনো খেলাপি ঋণ না থেকে থাকে, তাহলে কোন টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করলাম, তা আমার বোধগম্য নয়। দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যাংক হিসাবে আট হাজার কোটি লেনদেন একটি স্বাভাবিক ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া মাত্র। 

তিনি আরও বলেন, আমি, আমার স্ত্রী ও নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান করবছর ২০১৩-২০১৪ থেকে ২০২৩-২০২৪ পর্যন্ত ১১ বছরে ১১বার সেরা করদাতা হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক মনোনীত হয়ে পুরস্কৃত হয়েছি। 

'গত কিছুদিন ধরে দেশের কতিপয় সংবাদমাধ্যম ও একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে জড়িয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশ করছে। শুধু তাই নয়, এ কুচক্রী মহলটি বিভিন্নভাবে আমার সঙ্গে ইস্টার্ন ব্যাংকের নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। ইস্টার্ন ব্যাংক একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নিয়ম-নীতি মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এর ব্যত্যয়েরও কারো কোনো সুযোগ নেই। আমাকে জড়িয়ে ইস্টার্ন ব্যাংক-সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনা কর্তৃপক্ষেরও কোনো অভিযোগ নেই। সুতরাং ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের আট হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অসত্য ও বানোয়াট অভিযোগ সম্বলিত প্রকাশিত খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সরকারের সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রতিষ্ঠান যাচাই করতে চাইলে এ বিষয়ে আমার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা করা হবে', যোগ করেন তিনি।