‘পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম, কেউ নিয়ে যাবেন’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে এক নবজাতক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন স্বজনেরা। নবজাতকের বিছানার পাশে একটি বাজারের ব্যাগে চিরকুট পাওয়া গেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নবজাতকটি বর্তমানে হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছে।আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা জানাজানি হলে শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালে ভিড় করেন অনেকেই।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্ট্রারে ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে, মা ইনছু...
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে এক নবজাতক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন স্বজনেরা। নবজাতকের বিছানার পাশে একটি বাজারের ব্যাগে চিরকুট পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নবজাতকটি বর্তমানে হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা জানাজানি হলে শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালে ভিড় করেন অনেকেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্ট্রারে ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে, মা ইনছুয়ারা, বাবা শাহিনুর, আলাদিপুর, ফুলবাড়ী।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক গোলাম আহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারা নিজেদের শিশুর নানা-নানি হিসেবে পরিচয় দেন। সেসময় চিকিৎসক শিশুটির মায়ের খোঁজ করলে, তারা জানান মা নিচে আছেন। মাকে নিয়ে আসতে বললে, ওই দম্পতি বেড়িয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর শিশু ওয়ার্ডের বাইরে একটি বেডে নবজাতককে দেখে অন্যরা বিষয়টি চিকিৎসকদের জানান।
তিনি আরও বলেন, পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির মা ও স্বজনদের পাওয়া যায়নি। পরে শিশুটির বিছানায় রেখে যাওয়া একটি বাজারের ব্যাগে কিছু ওষুধ, ডায়াপার, জামা-কাপড় ও একটি চিরকুট পাওয়া যায়। ওই চিরকুটে লেখা রয়েছে, 'আমি মুসলিম। আমি একজন হতোভাগী। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম। দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন। বাচ্চার জন্মতারিখ ৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার। এগুলো সব বাচ্চার ওষুধ।'
শিশুটির বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে গোলাম আহাদ বলেন, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের যে সময়কাল, তার আগেই শিশুটির জন্ম হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ আছে। ফটোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। শিশুটিকে ওয়ার্মারে রাখা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে অবস্থানরত অন্য মায়েদের কাছ থেকে বুকের দুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালে যোগাযোগ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।