সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন কেন নয়, প্রশ্ন হাইকোর্টের
হত্যা-দুর্নীতিসহ পাঁচটি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।আজ শনিবার কারাবন্দি বিচারপতি খায়রুল হকের দাখিল করা পৃথক পাঁচটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সাগির হোসেন লিওনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।আগামী ১০ দিনের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।এর আগে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ...
হত্যা-দুর্নীতিসহ পাঁচটি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ শনিবার কারাবন্দি বিচারপতি খায়রুল হকের দাখিল করা পৃথক পাঁচটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সাগির হোসেন লিওনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে খায়রুল হকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও আইনজীবী মনাঈম নবী।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরশাদুর রউফ, আনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আখতার রুবি।
দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেন।
শুনানিতে মুনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, 'খায়রুল হক গুরুতর অসুস্থ। জামিন তার প্রাপ্য। কারাগারে থাকাকালীন তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত হয়েছেন।'
অন্যদিকে হাইকোর্ট রুল জারি করতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, 'স্বল্প মেয়াদের রুল জারির বিষয়ে আপত্তি রয়েছে।'
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন খায়রুল হক। ২০১১ সালের ১০ মে তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেন।
এ রায়ের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
২০২৪ সালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর পর গত ২৪ জুলাই ধানমন্ডির বাসা থেকে পুলিশ খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকায় যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর বেআইনি রায় প্রদান ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত বছরের ২৫ আগস্ট করা অন্য আরেকটি মামলাতেও খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
এছাড়া গত বছরের ২৭ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিষয়ক রায় জালিয়াতির অভিযোগে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন। একই অভিযোগে ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় নূরুল ইসলাম মোল্লাও আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
চলতি বছরের আগস্টে তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্লট নেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করে দুদক।