গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে আগামী সপ্তাহে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট, খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং আমরা একটি রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবার—যারা অবর্ণনীয় কষ্টের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের ব্যথা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

মাহফুজ বলেন, অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম যে বিচারের কাজ শুরু করব, আমরা সেই বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। যারা দেশের ছাত্র-জনতা হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের সবারই বিচার হবে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ অনেকের বিচারকাজই ট্রাইব্যুনালে চলমান। পরবর্তীতে জনগণের ভোটে যে সরকার নির্বাচিত হবেন, তারা এ বিচারকাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে শিগগির যে সংস্কারগুলো না করলেই নয়, নির্বাচনের আগেই সেসব করা হবে জানিয়েছে মাহফুজ বলেন, শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছিল—সেগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না।

নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার দালালদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে, যোগ করেন তিনি।

সংস্কারকাজ অনেক দূর এগিয়েছে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে—এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করল।

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি সংস্কার কাজগুলোকে যথাযথভাবে করতে পারে, তাহলে যে নতুন বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ দেখতে পাব। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে, বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম খুন আর ফেরত আসবে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ বলেন, আসুন, বাংলাদেশপন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি—ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। প্রয়োজনে আমরা আবার লড়াই করব, শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট হলে চলবে না, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।