লাইসেন্স পেতে লাগবে প্রশিক্ষণ, বিআরটিএর পরিবর্তে দায়িত্বে থাকবে ড্রাইভিং ইনস্টিটিউট
সড়ক নিরাপদ করতে ও শৃঙ্খলা ফেরাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।সম্প্রতি সরাইল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'সড়কে জ্যাম এবং দুর্ঘটনা হয় এটার প্রধান কারণ হচ্ছে, ড্রাইভাররা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না। আপনারা হয়তো জানবেন যে, আমি যাওয়ার দুদিন পর থেকে ওখানে (সরাইল) আর কোনো যানজট...
সড়ক নিরাপদ করতে ও শৃঙ্খলা ফেরাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
সম্প্রতি সরাইল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'সড়কে জ্যাম এবং দুর্ঘটনা হয় এটার প্রধান কারণ হচ্ছে, ড্রাইভাররা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না। আপনারা হয়তো জানবেন যে, আমি যাওয়ার দুদিন পর থেকে ওখানে (সরাইল) আর কোনো যানজট নাই। আমি তো কোনো জাদুর কোনো কিছু নিয়ে যাইনি, আমার হাতে তো কোনো জাদুর কাঠি নেই! ওখানে আমরা যেটা করেছি সেটা হচ্ছে যে, কতগুলো শৃঙ্খলা—যেমন ওখানে একটা দুই লেনের রাস্তা, দুই লেনের রাস্তায় যদি দুই দিক থেকে চারটা গাড়ি আসে, তাহলে তো কেউ মুভ করতে পারবে না।'
তিনি বলেন, 'সড়ককে নিরাপদ ও যানজট মুক্ত করতে হলে যিনি গাড়ি চালাবেন তাকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। এ জন্য আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন করতে চাই।'
ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'অন্য দেশে যেভাবে মানুষ লাইসেন্স পায়, সেভাবে দেওয়া হবে। লাইসেন্স পাওয়ার প্রথম পূর্ব শর্ত হচ্ছে যে, আপনাকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। সামনে লাইসেন্স পেতে হলে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করব,' জানান তিনি।
ফাওজুল কবির আরও জানান, প্রশিক্ষণকালে যেহেতু চালকদের আয় থাকবে না, সে কারণে ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, 'আমরা বিআরটিএকে (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) একটা নিয়ন্ত্ৰণমূলক সংস্থা থেকে সেবামূলক সংস্থায় পরিণত করতে চাই।'
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে কেউ প্রশিক্ষণ দিতে চাইলে উৎসাহিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, 'প্রশিক্ষণ হবে দুই ধরনের। চালকরা যেন সড়কের সংকেত বুঝতে পারেন এবং গাড়ি চালানো।'
'এছাড়া, শারীরিক সক্ষমতা, যেমন চোখের আই-সাইট ঠিক আছে কি না এবং ডোপ টেস্ট করার পর লাইসেন্স দেওয়া হবে। বেশিরভাগ কাজ বিআরটিএ থেকে হস্তান্তর করে আমরা ড্রাইভিং ইনস্টিটিউটকে দিয়ে দেবো। সুতরাং বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা আর থাকবে না। আগামী মাস থেকেই প্রশিক্ষণ চালু হতে পারে,' যোগ করেন।